অতি মুনাফা নয় ডেঙ্গু নিয়ে: এফবিসিসিআই
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা নিয়ে অতি মুনাফা থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
রোববার মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে ‘চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু মোতালেব।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় রেগুলেটরি বডির মতো সহায়তা দিতে না পারলেও শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন হিসাবে যতটুকু করা সম্ভব তা তারা করবেন।
ডেঙ্গু পরীক্ষায় কিট বা রি-এজেন্টের সঙ্কট দেখা দেওয়ায় কেউ স্বল্প সময়ে এই পণ্যগুলো আমদানি করতে চাইলে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
ফাহিম বলেন, “কিট আমদানির ব্যাপারে আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা হবে। এ বিষয়ে আর্থিক সহায়তা দেওয়া লাগলে তাও দেওয়া হবে। এফবিসিসিআই সদস্যরা যদি কিট আনতে চায় তাহলে এক সঙ্গে হয়ে ওই কিট ডিসট্রিবিশনের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারি।”
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে এফবিসিসিআই ভবনে জরুরি ব্ল্যাড ব্যাংক চালুর ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি।
এর পরই বিকালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি টিম ফেডারেশন ভবনে রক্ত সংগ্রহ শুরু করে।
বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আগে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট ১২০ টাকায় পাওয়া যেত। এরপর তা ১৫০ টাকা হয়। জুনে তা বেড়ে ১৮০ টাকা হয়। আর এখন ৪৫০ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।”
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, “আমরা ডেঙ্গু কিট কিনতে হিমশিম খচ্ছি। গতকাল ৪৫০ টাকা করে যেগুলো কেনা হয়েছে তা দিয়ে স্বল্প পরিসরে আগামীকাল পর্যন্ত চালানো যাবে। তার পরে যে কী হবে তা বলা মুশকিল।”
এর কঠোর সমালোচনা করে আবু মোতালেব বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছে গেছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। বিপদকালীন এই সময়টাতে অন্তত ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা থেকে বিরত থাকতে পারে।”